শীতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে,বৃদ্ধি পাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা!

একদম ঠিক শুনেছেন। ঠাণ্ডা পানিতেই গোসল করবেন। যতই ঠাণ্ডা লাগুক, গরম পানি গায়ে ঢালার কথা ভুলতেই হবে। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করতে ভয় পাচ্ছেন? ভরসা গরম পানি? একটু সাহস করে প্রতিদিন ঠাণ্ডা পানি দিয়েই গোসল করুন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সুস্থ ও সতেজ থাকবে হার্ট। ব্লাড প্রেশার থাকবে স্বাভাবিক। দিনভর থাকবেন এনার্জিতে ভরপুর আঁতকে উঠলেন তো? তাহলে চিকিতৎসকদের পরামর্শ শুনুন, শীতে ঠাণ্ডা লাগলেও গোসল করতে হবে ঠাণ্ডা পানিতেই। পাল্টাতেই হবে গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যাবে। সকালে শরীর বেয়ে যখন ঠাণ্ডা জলের ধারা নেমে আসে, শিউরে ওঠে শরীর। ঠিক তখনই গভীর শ্বাস টেনে নেয় শরীর। শরীরে ঢোকে অনেক বেশি অক্সিজেন। এই অক্সিজেন শরীরকে গরম রাখে। হার্ট রেট বেড়ে যায়। গোটা শরীর দিয়ে রক্ত ছোটাছুটি করে দ্রুত। ফলে সারাদিনের এনার্জি সঞ্চয় করে নেয় শরীর। নিয়মিত ঠাণ্ডা পানিতে গোসল  করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। চিকিতৎসকরা বলছেন, ঠাণ্ডা পানির সংস্পর্শে এলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফলে, হার্টের স্বাস্থ্য থাকে অটুট। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকায় ব্লাড প্রেশারও স্বাভাবিক থাকে। ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। শুধু হার্টই নয়, সকালে নিয়মিত ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে শরীর রোগমুক্ত থাকে। শরীরে দুই প্রকার ফ্যাট রয়েছে। হোয়াইট ফ্যাট ও ব্রাউন ফ্যাট। শরীরে বেশি ক্যালরি ঢুকলে হোয়াইট ফ্যাট বাড়তে থাকে। ক্যালরি না ঝরালে কোমর, পিঠের নিচের দিক, গলা এবং উরুতে ফ্যাট জমতে থাকে। শুরু হয় নানা সমস্যা। ঠাণ্ডা পানি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বককে রাখে মসৃণ। চুল থাকে সতেজ। পেশির সমস্যা দ্রুত সমাধান করে। স্ট্রেস কমায়। ডিপ্রেশন দূর করে। মন খুশিতে ভরে ওঠে। তাই গরম পানিতে গোসল করার বদভ্যাস ছাড়ুন।

0 Comment "শীতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে,বৃদ্ধি পাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা!"

Post a Comment